Details
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিত্সা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ।সিভিল সার্জন কার্যালয়, দিনাজপুর একাত্মতা ঘোষণা করেছে এর সাথে।
-----------------
বাংলাদেশে যক্ষ্মা একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বছর দুয়েক আগে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত জরিপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বছরে ৩ লাখ ৮১ হাজার বেশি মানুষ নতুনভাবে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। আর প্রতিবছর ৮১ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা একযোগে ৬৪টি জেলা এবং ৪৮৮ উপজেলায় সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ডটস সেন্টারে চিকিত্সাসেবা দিয়ে আসছে। ডটস সেন্টারে চিকিত্সক বা স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতিতে রোগী ওষুধ সেবন করে থাকে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মা নির্মূলে বাংলাদেশের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে, তা বেশ আগেই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ডটসের সুফল বাংলাদেশ ভোগ করছে।
বাংলাদেশে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় ভুগছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ। অনেকেই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিত্সা নেয়। তাদের অনেকেই নিয়মিত ওষুধ খায় না। সপ্তাহ দুয়েক ওষুধ খাওয়ার পর কিছুটা ভালো মনে হলে ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেয়। তারপর যখন ডটস সেন্টারে আসে, তখন আবার যক্ষ্মার চিকিত্সা নিয়েছে, এ কথা চেপে যায়। ফলে তাদের সেরে ওঠাটাও কঠিন হয়ে পড়ে।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে এখন সরকার চিকিত্সক, নার্স ও প্যারামেডিকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। যারা অতিদরিদ্র, তাদের বিনা মূল্যে ওষুধ দেওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খেতে আর্থিক সহযোগিতাও দেওয়া হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ওষুধের বাইরে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, এমনকি বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের ফিও দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অন্য যে সমস্যাটি দেখা দিচ্ছে তা হলো শিশুদের ক্ষেত্রে কফ পরীক্ষায় যক্ষ্মা ধরা পড়ছে না।
১০ বছরের নিচের শিশুরা কফ দিতে পারে না। যেটুকু দেয়, তাতে জীবাণু ঠিকভাবে ধরা পড়ে না। কফ পরীক্ষার বাইরে শিশুদের এক্স-রে বা মনটক্স পরীক্ষা করা হয়। সেটিও শতভাগ সঠিক হয় না সব সময়। অন্যদিকে অনেক সময় চিকিত্সকদের মাথায় শিশুদের যক্ষ্মার বিষয়টি থাকে না। তাঁরা নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের চিকিত্সা করেন। চিকিত্সকের উচিত হবে চিকিত্সা দেওয়ার আগে যক্ষ্মা রোগের অন্যান্য উপসর্গগুলো মিলিয়ে দেখা।
যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করছে সিভিল সার্জন কার্যালয় দিনাজপুর। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের আরো দক্ষ করে তোলা হচ্ছে।